Friday , 10 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

ফেব্রুয়ারিতে পদ্মা সেতুতে নতুন স্প্যান বসানোয় আশাবাদী কর্তৃপক্ষ

পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি মাসের এক তারিখে আমরা বিশেষ রিপোর্ট প্রচার করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে নতুন স্প্যান বসানোর বিষয়ে একটি রিপোর্ট।

কথা ছিল এ বছরের শুরুতেই পদ্মা সেতুতে যোগ করা হবে আরও দু’টি নতুন স্প্যান। তবে শীতকালে পলি জমে নদীর তলদেশের গভীরতা কমে যাওয়ায় স্প্যানবাহী ভাসমান ক্রেনটি চলাচল করতে না পারায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন স্প্যান বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃত্রিমভাবে নদীর গভীরতা বাড়াতে দিনরাত কাজ করছে তিনটি ড্রেজার।

শান্ত পদ্মা নদী। বর্ষায় প্রমত্তা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে কাজ করা হয়ে পড়ে দুরূহ। তাই সেতুর কাজে গতি আনতে শুকনো মৌসুমকেই মোক্ষম সময় ধরে নেয়া হয়। তবে ঘটছে ঠিক উল্টোটা। এখন তেমন স্রোত না থাকায় নদীর তলদেশে জমছে পলি। সাধারণত নদীতে ভারি যানবাহন চলাচলের জন্য ৫ মিটার গভীরতা প্রয়োজন হলেও বর্তমানে সেটা কমে এসেছে ৩ মিটারে। ড্রেজিং করে গভীরতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে যেটুকু খনন করা হয়েছে, তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না।

ফলে জাজিরা প্রান্তে স্প্যান বসানোর নির্ধারিত স্থানের এক কিলোমিটার দূরত্বে অলস বসিয়ে রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ টন ওজন বহনে সক্ষম সর্বাধুনিক ভাসমান ক্রেনটি। মাওয়ার ইয়ার্ড থেকে স্প্যান নিয়ে জাজিরা পর্যন্ত আসার জন্য নেই নদীতে প্রয়োজনীয় গভীরতা। এছাড়া পিলারের সঙ্গে স্প্যান জোড়া দেয়ার জন্য সিমেন্টের মিশ্রণে তৈরি গ্রাউটিংয়ে সমস্যা দেখা দেয়ায় সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন ভারতের প্রকৌশলীরা। চীনের প্রকৌশলীরা এখন চেষ্টা করছেন সমস্যা সমাধানের।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীটি খুবই আনপ্রেডিক্টেবল; এখানে দিনে এক মিটার পর্যন্তও চর পড়ে যায় এর ঠিক নাই। আর নাব্যতা রাখার জন্য তিনটা ড্রেজার কাজ করছে। গ্রাউটিংয়ে আমাদের নয়টা ট্রায়াল আছে, কিন্তু দুইটা হয়ে যাওয়ার কথা; কিন্তু হয়নি।

৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যানটি বসানোর পর এর পাশেই পুরো প্রস্তুত করে তোলা হয়েছে ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলার। অপেক্ষা কখন নিয়ে আসা হবে নতুন করে দুটি স্প্যান? স্প্যানগুলো নিয়ে আসা গেলে স্বল্প সময়ে সেগুলো বসিয়ে দেয়া সম্ভব হবে। তখন জাজিরা প্রান্তে এক সঙ্গে দৃশ্যমান হবে ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিনটি স্প্যান।

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের ছোট কিছু কাজের জন্য ৩৯-৪০ নম্বর স্প্যানগুলো বসাতে দেরি হচ্ছে।’

আগে আনা ৪টি হ্যামারের মধ্যে ২টি বিকল হয়ে থাকলেও ৩ হাজার ৫০০ কিলোজুল ক্ষমতার নতুন হ্যামারটি এর মধ্যে চালু হওয়ায় কাজের গতি বেড়েছে। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর কাজে ৮০ ভাগ অগ্রগতি হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে ৫৪ ভাগ।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top