Friday , 3 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

রাজশাহীতে পোকার আক্রমণে বিবর্ণ আমনের আবাদ, ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকেরা

বন্যার ধাক্কা কাটিয়ে নতুন ফসল ঘরে ওঠার আগে কয়েক দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের আবাদ। তাই দিগন্ত বিস্তৃত সোনালী ধানে খুশির বদলে দীর্ঘশ্বাস ঝরছে রাজশাহী অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষকের মনে। ক্ষেতভরা নতুন ধানেও খুশি নেই কারো মুখে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষেতের বিপর্যয় রুখতে নানা মাধ্যমে প্রশিক্ষণ আর কৌশল শেখানো হয়েছে কৃষকদের।

বন্যার পানিতে ডুবে আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউশের আবাদ। তবে খাল বিলে পানি থাকায়, কম খরচে মাঠের পর মাঠ ভরে ওঠেছিলো তরতাজা  আমনের সোনালী শীষ। কিন্তু শীষ কাটা ইঁদুর, পাতা মরা রোগ ও কারেন্ট পোকার আক্রমণে বিবর্ণ হয়েছে, আমনের ধান শীষ। সবুজে ভরা ধানক্ষেত রূপ নিচ্ছে শুকনো খড়ে।ধানা শুকিয়ে হচ্ছে, চিটা। আর অবশিষ্ট সম্ভবনা টুকু হেলে পড়েছে নিম্নচাপের প্রভাব ও দমকা হাওয়ায়। এমন নানা প্রতিকূলতায় মাঠে মাঠে সাজানো সবুজ এমন গালিচাতেও সুখ নেই কৃষকের মনে।

স্থানীয় এক কৃষক জানান, ইঁদুরের আক্রমণ বেশি। এবং সাথে সাথে পুতকি পোকার আক্রমণও বেশি। ধানের রষটা চুষে খাওয়ার পর, গাছটা আসতে আসতে শুকায় যায়। যেগুলোতে ধান আসে, সেগুলো ছিটা হয়ে যায়। বালাই নাশক ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না।

কৃষকের অভিযোগ সার-কীটনাশকের অতিরিক্ত দামের কারণে অবশিষ্ট ধানটুকুর সঠিক যত্ম নিতে পারছেন না। পাশাপাশি কৃষি বিভাগ ও সরকারি বিভাগ সহায়তা ছাড়া ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেনও তারা।

কৃষকেরা বলেন, যে পরিমাণ সার ও কীটনাশক দেওয়া হয়েছে, ওই হিসাবে আমাদের খরচের টাকাও উঠবে না। ধান তলায় একবারে হারিয়ে গেছে। আমাদের অর্থ নাই সেভাবে ধানটা যত্ম করে নিয়ে আসবো। এই জন্য আমাদের অর্থ সহযোগিতা প্রয়োজন।

আর জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন বিভিন্ন ভাবে সচেতনতা বাড়িয়ে রোগ বালাইয়ের নির্মূলে তৎপর রয়েছেনও তারাও। রাজশাহী জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কে জে এম আব্দুল আউয়াল বলেন, বাদামি ঘাসফড়িং কোন ধরনের ক্ষতি না করতে পারেন। এই জন্য আমরা সদা তৎপর রয়েছি। কীটনাশক-বালাইনাশক যে কোম্পানিগুলো আছে সে কোম্পানিগুলোর সাথে সমন্বয় করে কাজ করেছি।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top