জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে ভোটের বৈতরণী পার হতে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে রাজনীতির মাঠে নামতে চায় দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। একদিকে, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামতে তুলে ধরে ক্ষমতার ধারা অব্যাহত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে, জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে ক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর বিএনপি।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৭ সাল জুড়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দল-বিএনপি সভা সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছে জনগণকে।
নতুন বছরে সেই তৎপরতা আরো জোরদার করে নির্বাচনের ফসল ঘরে তুলতে চায় দুই দলই। এ লক্ষ্যে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে বিভিন্ন কমিটি গঠনের পাশাপাশি জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে তারা। নতুন বছরের প্রতিটি ক্ষণকেই কাজে লাগাতে চায় আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘২০১৮ সাল হবে আওয়ামী লীগের জন্য কর্মময় একটি বছর। কেননা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত করবেন।’
হানিফ আরও বলেন, এদেশের জনগণ উন্নয়নের পক্ষে থাকবেন। আর উন্নয়নের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করবেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডই আওয়ামী লীগকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেবে বলে মন্তব্য এই শীর্ষনেতার। তবে ২০১৮ সালকে ঘুরে দাঁড়ানোর বছর হিসেবেই দেখছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী দিনে বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, সেটা ২০১৮ সালের উপর নির্ভর করবে।’
তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ তার সমস্ত নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে নিয়ে তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করে নিবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে চায় দলটি।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ‘শুধু দল গোছানো নয়, জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের যে নাগরিক অধিকার ফিরি পাওয়ার যে সংগ্রাম সেই অধিকার আদায়ে লক্ষ্যে বিএনপি কাজ করে যাবে। আর সেটার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন।’
জনগণের বিরাগভাজন হতে হয়, এমন কর্মসূচি না দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দু’দলেরই।