Friday , 17 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

স্বাধীনতা পরবর্তী টেলিযোগাযোগ বিপ্লব: নিজস্ব স্যাটেলাইট, ফোরজির পথে বাংলাদেশ

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। গেল ১০ বছরে দেশের প্রায় শতভাগ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্ক এর আওতায় আসা ছাড়াও উচ্চগতির ফোর জি নেটওয়ার্কের পথে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের পাশাপাশি স্বপ্নের নিজস্ব স্যাটেলাইটও এখন বাস্তবায়নের পথে।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশ পুনর্গঠনে সব থেকে বেশি নজর দেয়া হয় যোগাযোগ খাতের উন্নয়নের দিকে। সে সময়ে রাস্তাঘাট আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন শুরু হলেও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রবেশ করতে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় অন্তত দুই দশক। তথ্যপ্রযুক্তি আর টেলিযোগাযোগ খাতে বাংলাদেশ প্রবেশ করে নব্বই এর দশকে। তার ছাড়া দূর আলাপনের এই প্রযুক্তি মাধ্যমে বেশি অগ্রগতি হয়েছে গেল ১০ বছরে। এ সময়ে টেলিযোগাযোগ খাতে আলোচিত শব্দ থ্রিজি যা খুব দ্রুতই রূপান্তর হচ্ছে ফোর জিতে।

এমটবের মহাসচিব এ টি এম নুরুল কবির বলেন, ‘আমরা আগে বলতাম, মোবাইল ফোনে কথা বলার যন্ত্র। এটা কিন্তু এখন আর শুধু কথা বলার যন্ত্র না। এটা হচ্ছে সেবা দেয়ার যন্ত্র, ডিজিটাল সেবা। আজ মোবাইল নেটওয়ার্ক যে মহাসড়ক তৈরি করেছে এরমধ্যে কতগুলো সাবসেক্টর বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে। কনটেন্ট, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ ডেভেলপার তৈরি হয়েছে। আমরা যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই, যদি প্রান্তিক মানুষের কাছে ডিজিটাল সার্ভিস পৌঁছাতে চাই তাহলে তার সামর্থ্যের মধ্যে এই স্মার্টফোনকে নিয়ে যেতে হবে।’

দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের উল্লেখযোগ্য অর্জন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারান হালিম জানালেন, সব ধরণের কাজ সমাপ্ত করে এখন তা উৎক্ষেপণের অপেক্ষায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের টেলিডেন্সিটি ২০০৮ সালে ছিলো ৩৪.৫০ শতাংশ। অক্টোবর, ২০১৭তে তা দাঁড়িয়েছে ৮৮ শতাংশে। মোবাইল সাবস্ক্রাইবার ছিলো ৪৬ মিলিয়ন। এখন কিন্তু ১৪১.৬৮ মিলিয়ন। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে আমরা সংযুক্ত হয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের চুক্তি সাক্ষর থেকে শুরু করে এর নির্মাণ প্রক্রিয়া শতভাগ আমরা সম্পন্ন করে ফেলেছি। এখন তারা এটি উৎক্ষেপণের জন্য যে সময় দেবেন তার অপেক্ষায় আছি। আমরা ফোর জি ফেব্রুয়ারির মধ্যে লাইসেন্স দিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।’

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির তথ্য মতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৪ কোটি ছাড়িয়েছে। এই সময়ে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯২ লাখে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top