Tuesday , 30 April 2024
সংবাদ শিরোনাম

রোহিঙ্গা শিবিরে সাঁড়াশি অভিযান, পাঁচ বিদেশিসহ আটক ২৬

সন্দেহভাজন দেশি-বিদেশি লোকজন উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে- গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে গতকাল সোমবার শিবিরে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় শুরু করা এ অভিযানে পাঁচ বিদেশি নাগরিকসহ ২৬ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

তবে পরে মুচলেকা নিয়ে এবং পাসপোর্ট জমা রেখে বিদেশিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের লম্বা শিয়া ও শিবিরের ডি-৪ এলাকার বস্তি হিসেবে পরিচিত এলাকায় অভিযান চলে। আটক বাকি ২১ জনের মধ্যে চার রোহিঙ্গাসহ ১০ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। বাকিদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন রাত ১০টায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই রোহিঙ্গা শিবিরে দেশি-বিদেশি সন্দেহভাজন লোকজন অবস্থান করে। বিশেষ উদ্দেশ্যে এসব ব্যক্তি শিবিরে অবস্থান নেওয়ার গোপন সংবাদ ছিল আমাদের কাছে। তাই অভিযান চালানো হয়। ’

জেলা প্রশাসক জানান, দেশি-বিদেশি কিছু লোক রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া নামের সীমান্তবর্তী এলাকায় নাফ নদের তীরে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লোকজন স্থানীয় সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চলাচলের সুবিধার জন্য অস্থায়ী সেতু স্থাপনের কাজও শুরু করেছিল।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিনা অনুমতিতে নির্মাণাধীন ওই সেতুর কাজ গতকাল বন্ধ করে দিয়েছেন।অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খালেদ মাহমুদ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এত রাতেও সেখানে বিদেশি নাগরিকদের ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি। রাতের বেলায় রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থানের বিষয়ে তাদের কাছে পররাষ্ট্র কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও কোনো অনুমতি নেই। জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তাও বিষয়টি জানেন না।

অভিযানে পাঁচজন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন চীনের, বাকিরা ব্রিটিশ নাগরিক। রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থানের বিষয়ে তাদের কারো কাছে বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছিল না। মুচলকো নিয়ে এবং পাসপোর্ট জমা রেখে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ’

অভিযানে থাকা পুলিশের উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা রাতে কালের কণ্ঠকে জানান, সন্ধ্যার পর থেকে রোহিঙ্গা শিবিরে বাইরের কোনো লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দুই মাস ধরেই মাইকিং করে জানানো হচ্ছে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top