Sunday , 12 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

দুই হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসির রায়

দুই হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসির রায়

কিশোরগঞ্জে দুটি হত্যা মামলায় দুজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কটিয়াদী উপজেলার ঘাগৈর গ্রামের আবদুল হাকিম (৫০) ও ভৈরব উপজেলার চণ্ডীবের দক্ষিণপাড়ার রফিকুল ইসলাম (২৮)। রায় ঘোষণার সময় আসামি আবদুল হাকিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি রফিকুল ইসলাম জামিনে গিয়ে পলাতক। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়েছে, সদর উপজেলার শ্মশানবন্দ এলাকায় চরপুক্ষিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের চাষাবাদের জমি ছিল। একই এলাকার পশ্চিমপাড়ার সুলতান মিয়াও বর্গাচাষি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ সকালে শ্মশানবন্দ এলাকায় ছাগল চরানোকে কেন্দ্র করে সুলতান মিয়ার স্ত্রী রসুনা খাতুনের সঙ্গে আসামি আবদুল হাকিমের ঝগড়া হয় এবং একপর্যায়ে হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে কোপ দিয়ে রসুনা খাতুনের হাতে আঘাত করলে তিনি আহত হন। পরে বিকেলে জয়নাল আবেদীন এ ব্যাপারে আবদুল হাকিমের কাছে কৈফিয়ত চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ নিয়ে উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আবদুল হাকিম বল্লম দিয়ে জয়নাল আবেদীনের বুকে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে জসীম উদ্দিন বাদী হয়ে আবদুল হাকিমকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে কটিয়াদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আহমেদ ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আলী আজগর আকন্দ মামলাটি পরিচালনা করেন। অপর ঘটনায় ভৈরব উপজেলা সদরের মেঘনা ফেরিঘাট এলাকার মুদি দোকানদার রফিকুল ইসলাম তাঁর ভাগিনা দীন ইসলামের কাছে পাওনা ৩০০ টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ফেরিঘাটে কর্মরত মো. জামালউদ্দিন উক্ত বিরোধের মধ্যস্থতা করতে গেলে ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম তাঁর বুকে ছোরা দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় স্থানীয় জনতা অস্ত্রসহ রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই কামাল মিয়া ভৈরব থানায় রফিকুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ভৈরব থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ক্ষিতিশ দেবনাথ মামলাটি পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট মলয় ভৌমিক উভয় মামলা পরিচালনা করেন।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top