Sunday , 19 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

জঙ্গি আস্তানা থেকে নারী ‘জঙ্গি’ ছাদে উঠে গ্রেনেড ছুড়ে মারে

জঙ্গি আস্তানা থেকে নারী ‘জঙ্গি’ ছাদে উঠে গ্রেনেড ছুড়ে মারে ।

মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাটে ‘জঙ্গি আস্তানা’য় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এক নারী ‘জঙ্গি’ ওই ভবনের ছাদে উঠে দুটি গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়, অন্যটি এখনো ঘটনাস্থলেই পড়ে আছে।

আজ শনিবার দুপুরে বড়হাটে ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শেষ হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘প্রথম দিন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন মহিলা কিন্তু বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে দুটো গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর একটি বিস্ফোরিত হয়েছিল, আরেকটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় ধানক্ষেতে পড়ে আছে।

‘ধানক্ষেতে যেখানে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়, সেখানে কাদা-পানি কিন্তু অনেকটা জায়গা নিয়ে… অর্থাৎ ধ্বংসক্ষমতাটুকু বোঝা যাচ্ছে। এ কারণেই আমারা খুব সন্তর্পণে কাজ করেছি।’

মনিরুল আরো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পুলিশের মোট নয়জনকে জঙ্গি দমন অভিযানে হারিয়েছি।’

বড়হাটে অভিযানে নিহতদের মধ্যে একজন নারী, বাকি দুজন পুরুষ। চারদিন ধরে ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযান শেষ হলেও চতুর্থ দিনের মতো জঙ্গি আস্তানার আশপাশে বলবৎ রয়েছে ১৪৪ ধারা।

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়হাট এলাকায় একটি বাড়ি এবং শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ফতেপুরের নাসিরপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রাখে পুলিশ।

নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানা গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সোয়াত দখলে নিলেও বড়হাটের আস্তানায় এখনো সোয়াট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গি আস্তানা বাড়ি দুটির মালিক লন্ডনপ্রবাসী সাইফুল ইসলাম।

নাসিরপুরে সাতটি মরদেহ পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যার চারটিই শিশু। তাদের লাশের ময়নাতদন্তও হয়েছে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে। তবে সেখানে লাশগুলো শনাক্তের জন্য রাখলেও কেউ এখনো তা করেনি। ফলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top