Tuesday , 14 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

মুমিনুল হকের দৃঢ়তায় প্রথম দিনটায় অন্তত বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিতে পারেনি

এক প্রান্তেই শুধু সচল ক্যামেরা। টেস্ট ক্রিকেট শুধু এক দিকের ক্যামেরা দিয়ে দেখতে হচ্ছে, এ তো অনেকের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। বাতাস এমনই ঝোড়ো ছিল, এক প্রান্তের ক্যামেরাকর্মীদের ওপর থেকে নামিয়ে আনতে হয়েছিল সম্প্রচারকদের। নিরাপত্তার জন্য। বাতাসে না পড়ে যান তাঁরা!এক পাশের ক্যামেরা দিয়ে খেলা দেখার অভিজ্ঞতা যেমন নতুন, এমন দমকা বাতাসে ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাও বাংলাদেশের জন্যও প্রায় নতুন। মুমিনুল হক তো প্রথম বলে স্ট্যান্স নিয়ে সরেও গেলেন। হঠাৎ দমকা বাতাস! নিউজিল্যান্ডের প্রতিকূল কন্ডিশন তো ছিলই, বৃষ্টিভেজা কন্ডিশনে সবুজ উইকেটে তাদের পেসারদের সঙ্গেও লড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। কিন্তু তামিম ইকবালের আক্রমণ আর মুমিনুল হকের দৃঢ়তায় প্রথম দিনটায় অন্তত বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিতে পারেনি কেউ। অবিচল ছিল বাংলাদেশ।
তামিম বললেনও, ‘বাতাস একটি প্রান্তে বোলারদের সহায়ক হয়েছে। অন্য প্রান্তে অবশ্য তা বোলারদের দিকে সেভাবে সহায়তার হাত বাড়ায়নি। আমাদের জন্য এমন বাতাস বেশ নতুন একটা ব্যাপার। আমরা কখনোই এমন বাতাসের মধ্যে খেলিনি। ভারী বাতাসের কারণে আমরা তো অনেক সময় বোলারদের থামিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। দেখবেন বাতাসের কারণে পুরো খেলায় ৭-৮ বার বেলও পড়ে গেছে। আমাদের জন্য এমন কন্ডিশন বেশ কঠিন। তবে আমি, মনে করি, আমাদের সামনে নতুন যে পরিস্থিতিই এসেছে, সেটিকে আমরা উতরাতে পেরেছি।’কেমন লাগে এমন ঝোড়ো বাতাসে খেলতে? তামিম বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলেন, ‘ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে আপনি ব্যাটিং করছেন, আর পেছন থেকে কেউ আপনাকে টেনে ধরছে। খুব ভারী বাতাস। আপনারা তা অনুভব করেছেন। তবে একটা জিনিস ভালো ছিল, ম্যাচ অফিশিয়ালরা আমাদের বলেছিলেন, খুব ভারী বাতাস বইলে আমরা খেলা থামিয়ে দিতে পারব। বিশ্বের কোনো জায়গাতেই তো এমন কন্ডিশনে খেলা হয় না।’বাংলাদেশের জন্য আরও কঠিন ছিল কাজটা। কেন, তা–ও বললেন তামিম, ‘বাংলাদেশ এখানে একটাই টেস্ট খেলেছে। আর টেস্ট খেলার ৯০ শতাংশ খেলোয়াড়ও এখন নেই। দলের প্রায় সবাই নতুন। এই দিক দিয়ে চিন্তা করলে আমাদের জন্য কন্ডিশনটা যথেষ্ট কঠিন। আমার নিজের জন্যও কঠিন ছিল। আমি এখানে মাত্র একটা ইনিংসেই ব্যাট করেছিলাম।’
বাতাস তো ছিলই, ছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টি। ব্যাটসম্যান যখন ছন্দে থাকেন, এমন সময় খেলা বন্ধ হয়ে গেলে নতুন করে আবার শুরু করতে হয়। এটাও তো সামলাতে হয়েছে তামিমদের, ‘খেলায় বিরতি পড়াটা ব্যাটসম্যানের জন্য কখনোই আদর্শ নয়। ব্রেক হলে নতুন করে শুরু করতে হয়। অনেকবারই আজ ব্রেক হয়েছে। সারা দিনের পরিস্থিতি দেখলে আমার কাছে মনে হয় আমরা দারুণ খেলেছি।’
ইমরুল কায়েসের ওই হঠকারী শটও নয়, তামিমকে প্রথম দিনের একটা খুঁতই পোড়াচ্ছে। দারুণভাবে উইকেটে সেট হয়ে গিয়েও মাহমুদউল্লাহর ফিরে আসা, ‘দিন শেষে স্কোরবোর্ডটা ১৫৪/৩ না হয়ে ১৫৪/২ হলে বেশি ভালো লাগত। মেঘলা কন্ডিশন, ভারী বাতাস, সবুজ উইকেট-এসব ভাবলে আমার কাছে মনে হয় না আমরা খুব খারাপ করেছি

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top