তাইওয়ানের আকাশে চীনা যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ ওই অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা বাড়াচ্ছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি তাইওয়ানের আশেপাশে চীনের সামরিক কার্যকলাপ বেড়ে গেছে। এসব ঘটনা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
তাইওয়ান দাবি করেছে, গত দুই সপ্তাহে যুদ্ধবিমান, ড্রোন, বোমারু বিমান এবং অন্যান্য বিমানের পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ এবং চীনের বিমানবাহী রণতরী দিয়ে ওই অঞ্চলের কাছাকাছি কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে বেইজিংকে।
তাইওয়ানকে চীন তাদের নিজেদের অংশ বলে বিবেচনা করে। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে আসছে। গত কয়েক বছর ধরেই নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি এবং তাইপেইকে চাপে রাখার জন্য ওই দ্বীপের চারপাশে মহড়া চালিয়ে আসছে চীন।
পার্লামেন্টে বৈঠকের পর এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুয়ো-চেং বলেন, এটা এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। তিনি আরও বলেন, চীনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ডের যুদ্ধজাহাজগুলো তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে একসঙ্গে কাজ করছে। এর ফলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতির ঝুঁকি বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে তাইওয়ানের আশেপাশে সামরিক মহড়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বেইজিং। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
তবে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা রুটিন মাফিক বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়ে থাকে।