Sunday , 19 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না দেওয়াটা অযৌক্তিক : শিক্ষামন্ত্রী

ভর্তি পরীক্ষায় মেধার প্রমাণ দিয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হলেও সেখানে একধরনের বাধা তৈরি করা হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী অবাধ শিক্ষার কথা বলা হলেও আমাদের দেশের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উল্টো নিয়ম তৈরি করছে। একজন শিক্ষার্থী মেডিক্যালে ভর্তি হয়ে কিছুদিন পর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। কোনো কোনো শীর্ষ পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় একবারের বেশি অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। প্রথমবার ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না দেওয়া অযৌক্তিক।


আজ বুধবার (২০ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সম্মেলন ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষার সুবিধাবঞ্চিত ছিল। তাদের শিক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। সংখ্যাগত দিক থেকে শতভাগ শিক্ষার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনা সম্ভব হলেও মানের দিক থেকে আমরা পিছিয়ে। এখন আমাদের গুণগত মান অর্জন করতে হবে। নিজেদের মান শুধু নিজেরাই নয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেতে হবে। সে কারণে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ‘

তিনি বলেন, পাবলিক ও প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মানের দিক থেকে সমান হতে হবে। এখন শিক্ষার মান নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট সনদ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও কর্মজীবনে সেটা তেমন কাজে আসছে না। কর্মদক্ষতা না থাকায় তারা পিছিয়ে পড়ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় না নিয়ে আমরা শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি করে যাচ্ছি। কত বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারছি, সেটা নিয়ে আমরা এখন ব্যস্ত। ১০০ বছর পূর্ণ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে যে বিষয়গুলো চালু হয়েছিল, আজকের দিনে তার প্রতিটি বিষয় একইভাবে প্রাসঙ্গিক কি না, সেটা আমাদের দেখতে হবে। ‘

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বয়স বেঁধে দেওয়ার বিপক্ষে মন্ত্রী বলেন, ‘এই বয়সের পর আর ভর্তি হওয়া যাবে না, একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যাবে না, এই বিষয়ে ভর্তি হওয়ার পর অন্য বিষয়ে পড়া যাবে না―এগুলো আমরা কেন বলছি, সেটা আমার বোধগম্য নয়। ‘

তিনি বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান বা রসায়ন নিয়ে পড়ব। ছয় মাস, এক বছর, তিন বছর পর আমার মনে হলো আমি এই বিষয়ে পড়তে চাই না। কিন্তু আমার সামনে পথ খোলা নেই। আমাকে ধরে নিতে হবে, এটা আমার ব্রেক অফ স্টাডি। সারা বিশ্বে এটা পারলে বাংলাদেশে কেন পারবে না? চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের নিজেদের তৈরি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষায় গুণগত মান আমাদের অর্জন করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ‘

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক দিল আফরোজা উপস্থিত ছিলেন।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top