আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেন। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে এবং সীমান্তে সেনা মোতায়েন বিষয়ে জানাতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। রোববার রাতে এ আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সীমান্তে সেনা মোতায়েন সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তা উপেক্ষা করেছে রাশিয়া। ফলে রাশিয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পেতে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকে বসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দিমিত্র কুলেবা জানান, ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার (ওএসসিই) সদস্যরা নিরাপত্তা ইস্যুতে ভিয়েনা চুক্তিতে সই করেছে। ওই সংস্থার সদস্য রাশিয়াও। সে জন্য ভিয়েনা চুক্তি অনুসারে ইউক্রেন শুক্রবার রাশিয়ার কাছে সীমান্তে সেনা মোতায়েন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দাবি করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া যদি ওএসসিই এলাকায় নিরাপত্তা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তা হলে তাদের অবশ্যই উত্তেজনা নিরসনে সামরিক স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে এবং সবার নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনা মোতায়েন করে কার্যত দেশটির তিন দিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া। স্যাটেলাইটের চিত্রে দেখা গেছে, এরই মধ্যে ইউক্রেনের তিন দিকে অর্থাৎ বেলারুশ, ক্রিমিয়া ও পশ্চিম রাশিয়ায় ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে মস্কো। তবে দেশটিতে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়ে আসছে রাশিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে। যে কোনো মুহূর্তে রাশিয়া দেশটিতে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ১২টিরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ তাদের দূতাবাসকর্মীদেরও সরিয়ে নিয়েছে।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘ভীতি’ ছড়ানোর সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।