এক বছর আগে ২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করা হয়। শত্রুতামূলক ভয়ানক এ পদক্ষেপ আসে দেশটির প্রতিবেশী কয়েকটি আরব দেশের পক্ষ থেকে।
গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল তথা উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) প্রধান চার প্রতিষ্ঠাতা দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন এ অবরোধ আরোপ করে।
পূর্ব কোনো সতর্কতা ছাড়াই হঠাৎ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তথাকথিত এ সৌদি জোট। একই সঙ্গে জল, স্থল ও আকাশ তিন দিক দিয়ে ভ্রমণ ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ভয়াবহ এ কৌশলের উদ্দেশ্য ছিল মূলত কাতার সরকারের পতন অথবা অন্ততপক্ষে দেশটির সরকারকে বাগে আনা। তা করতে গিয়ে তেরোটি দাবি দোহার সামনে পেশ করা হয়।
এর মধ্যে ছিল কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল আলজাজিরা বন্ধ করে দেয়া, মধ্যপ্রাচ্যে সৌদির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং দোহায় তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা। কিন্তু সৌদি জোটের এ অবৈধ দাবির কাছে মাথা নত করেনি কাতার।
প্রতিবেশী চার দেশের চাপিয়ে দেয়া অবৈধ অবরোধ নানাভাবে মোকাবেলা করেছে দেশটি। এক বছর পরে এসে দেখা যাচ্ছে, কাতারের ওপর সৌদি অবরোধ পুরোই ব্যর্থ হয়েছে। সৌদি আরব ও তার প্রতিবেশী তিন মিত্র জোটের আরোপিত কাতারের ওপর জবরদস্তিমূলক অবরোধ আয়োজন ভেস্তে গেছে।
যেখানে কাতারকে দমাতে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে বাণিজ্য অবরোধ আরোপ করে সৌদি জোট। তাদের সে পাশার দান উল্টে গেছে। বরং সৌদি জোটের অবরোধের মুখে পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে উপসাগরীয় ক্ষুদ্র দেশ কাতারের নিজস্ব শিল্প।
প্রতিবেশী চার আরব দেশের আরোপিত বাণিজ্য অবরোধের কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লেও দ্রুতই এ অবস্থা থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয় কাতার।
অবরোধের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় শিল্প চাঙ্গা হয়ে ওঠায় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে কাতারের স্থানীয় শিল্পের বিকাশের। এতে করে স্থানীয় শিল্পে সমৃদ্ধির পথে রয়েছে উপসাগরীয় এ ধনী দেশটি।