Thursday , 9 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অন্যতম

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দেশগুলির অন্যতম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম খেত্রপাল সিং গত সপ্তাহে চারদিনের সফরকালে বাসসকে বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে এই অবস্থানে নিয়ে গেছে।

ড. পুনম খেত্রপাল বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমার এলাকার শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি, বিশেষত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সম্প্রদায়ের মালিকানা যেকোন আঞ্চলিক দেশ থেকে ভালো।’

কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক উদ্যোগকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় সাফল্যের নেপথ্যে প্রধান কারণ উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, এটি আশার কথা যে, কমিউনিটি তাদের নিজেদের লোকদের সাহায্যের জন্য কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের মানুষের জন্য বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ কর্মসূচি এবং আমি যেখানেই যাই সেখানে এই কর্মসূচিকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরি।’

জনসাধারণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। জনগণের অংশগ্রহণই কমিউনিটি ক্লিনিকের মূল বিষয়। স্থানীয় সম্প্রদায়ের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করে।

দুর্গম এলাকার মানুষও এখন তাদের বাড়ি থেকে আধ ঘণ্টার দূরত্বের মধ্যে একই ছাদের নিচে মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা, পারিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সেবা পেতে পারে।

খেত্রপাল সিং বলেন, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে বাংলাদেশের সাফল্য এই অঞ্চলের অন্য যেকোন দেশের চেয়ে ভাল এবং মাতৃমৃত্যুর হারও এই অঞ্চলে ডব্লিউএইচও’র বেসলাইন এর তুলনায় কম। বাংলাদেশের টিকাদান ব্যবস্থাও বেশ ভাল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সংক্রামক রোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগও প্রশংসনীয়।

ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপি ২.৫ শতাংশ বরাদ্দ এই প্রতিশ্রুতির বহি:প্রকাশ।

স্বাস্থ্য খাতে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে সিং আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও সক্ষম হবে।

সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদান, ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপি, ভিটামিন-এ সাপ্লিমেন্টেশনে সাফল্য অর্জনের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে।

ল্যান্সেট মেডিকেল জার্নাল সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার আকর্ষনীয় সাফল্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, এই ব্যবস্থাটি দারিদ্র্য সংক্রামিত সংক্রমণ, পুষ্টি এবং মাতৃত্ব সম্পর্কিত রোগগুলোর প্রথম প্রজন্মকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top