Thursday , 2 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

২৬১ যাত্রীর প্রাণ রক্ষা নারী কো-পাইলটের বুদ্ধিমত্তায়

ভারতের মুম্বাইয়ের আকাশে দুটি উড়োজাহাজ অত্যন্ত কাছাকাছি চলে এসেছিল। মাঝ আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষের কয়েক মুহূর্ত আগে এক নারী পাইলট তার উড়োজাহাজটি দ্রুত উচ্চতা পরিবর্তন করে সংঘর্ষের হাত থেকে বাঁচিয়ে যাত্রীদের প্রাণরক্ষা করতে সক্ষম হন।

আকাশে একাধিক উড়োজাহাজ থাকলেও সেসব উড়োজাহাজ প্রত্যেকটির উচ্চতা ভিন্ন ভিন্ন হয়। আর এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে। কিন্তু কোনো ভুলের কারণে দুটি উড়োজাহাজ আকাশে একই উচ্চতায় চলে আসলে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে। তেমনই এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গত ৭ ফেব্রুয়ারি।

সে ঘটনায় মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য মুম্বাইয়ের আকাশে এয়ার ইন্ডিয়া ও ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ সংঘর্ষের হাত থেকে বেঁচে যায়। আকাশে প্রায় ১০০ ফুট দূরত্বের মধ্যে এসে পড়ে প্লেন দুটি।

এয়ার ইন্ডিয়ার অনুপমা কোহলি নামে মহিলা কো-পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধি সেদিন বেঁচেছে ২৬১ জনের প্রাণ।

দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের অল্পের জন্য ধাক্কা এড়ানোর ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সেদিন ভিস্তারার পাইলটদের সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কনট্রোলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এ কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে এয়ার ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের।

ঘটনার সময় দুই বিমানেই পাইলটরাই টয়লেট ব্রেক নিয়েছিলেন। ফলে নিয়ন্ত্রণে ছিলেন কো-পাইলটরা। ভিস্তারার দিল্লি থেকে পুনেগামী ইউকে ৯৯৭ বিমানটি হঠাত্‍ করে যখন ২৯ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ২৭ হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসে। সেখানে আগে থেকেই উড়ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি।

মুম্বাই থেকে ভোপালগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এয়ারবাস এআই৬৩১-এর কো-পাইলট ক্যাপ্টেন অনুপমা কোহলি হঠাত্‍ দেখেন সামনে থেকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে ভিস্তারার বিমান। ঠিক সে মুহূর্তে কিছু না করলে মুখোমুখি ধাক্কা লেগে আকাশেই বিধ্বস্ত হয়ে যাবে দুটি বিমানই।

২০ বছরের বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্যাপ্টেন অনুপমা আর সময় নষ্ট করেননি। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিকে আরও ৬০০ ফুট ওপরে নিয়ে যান তিনি। মুহূর্তের জন্য এড়ানো যায় চরম বিপর্যয়।

কিন্তু কেন ভিস্তারার উড়োজাহাজটি হঠাৎ দুই হাজার ফুট নিচে নেমে গেল? এ বিষয়ে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের নির্দেশের কথাই বলছে ভিস্তারা।

ক্যাপ্টেন অনুপমা কোহলি বিপজ্জনক মুহূর্তে মাথা ঠাণ্ডা রেখে এতগুলো যাত্রীর প্রাণ রক্ষা করতে সক্ষম হওয়ায় সবাই এখন তার প্রশংসা করছেন।

সূত্র : এই সময়

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top