Saturday , 4 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে এখন ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন’

বর্তমান প্রেক্ষাপটে এখন ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। কোনো বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরির সময় এটা নয়।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভার শুরুতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৪ দলের ভেতরে কোন দ্বন্দ্ব নেই। কোনো বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরির সময় এটা নয়। আবেগের বশবর্তী হয়ে যে কেউ মন্তব্য করতে পারেন। সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এর সাথে ১৪ দলের কোন সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটেই বার বার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে, কারো অনুকম্পায় নয়। ’

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কোনো দলের বা ব্যক্তির দেয়া নির্বাচনী রূপরেখা নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে না। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। তিনি বিএনপিসহ সকল গনতান্ত্রিক ও নিবন্ধিত দলকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রেখে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহবান জানান।

জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকার সভাপতিত্বে আইন শৃঙাখলা কমিটির সভায়, গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, তানভীর ইমাম এমপি, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. শেখ মনজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান, এডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তাসহ, বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী শিয়ালকোলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আশ্রয় ও সহযোগিতা দেয়ার বিষয়টি সারাবিশ্বে যেখানে প্রশংসিত হয়েছে, সেখানে একজন নেত্রী, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া) তিনমাস পর ঘুম থেকে উঠে সেখানে গিয়ে বললেন, কিছুই দেয়া হয়নি। ’

তিনি বলেন, যেখানে বিশ্বের ধনী দেশগুলো এক লাখ শরণার্থী আশ্রয় দিতে ভয় পায়। সেখানে শেখ হাসিনা ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছেন। সরকারী-বেসরকারীভাবে তাদের বিভিন্ন সহায়তা দেয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। অথচ বিএনপি নেত্রী লাখ লাখ টাকার তেল পুড়িয়ে বিশাল গাড়ীবহরে শো-ডাউন করে সেখানে গিয়ে শুধুই মিথ্যাচার করে ফিরে এসেছেন।

সম্প্রতি জেলা শহরের দুটি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সবুরের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামীরা কিভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে জামিনে মুক্তি পেলো সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে।

অপরদিকে, ছাত্রলীগ নেতা মালেক খুনের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। এটা ন্যক্করজনক ঘটনা। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্য নিয়ে এসব কর্মকান্ড করা হচ্ছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top