ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে নালন্দা জেলার নুরসরাই থানার আজাদপুর গ্রাম। সেই গ্রামের ৫৪ বছর বয়সী নাপিত মহেশ ঠাকুর। গত বুধবার সন্ধ্যায় এই ব্যক্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (সারপাঞ্চ) দয়ানন্দ মাঝির বাড়িতে কড়া না নেড়ে ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। আর এর শাস্তি হিসেবে গ্রাম্যসালিশ বসিয়ে বিচার করা হয় তাঁর। নিজের লালা মাটিতে ফেলে তা চেটে খেতে বাধ্য করা হয় তাঁকে।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে। এর পর থেকেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে সালিশকারীরা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সালিশে গ্রাম্য মোড়লরা মহেশকে শুধু লালা খেতে বাধ্য করেই ক্ষ্যান্ত দেয়নি, তারা প্রকাশ্যে নারীদের দিয়ে জুতার বাড়ি খাইয়েছে এই ব্যক্তিকে।
নালন্দা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জন্মস্থান। সেই জেলায় একজন নাপিতকে চরম অপমানের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নালন্দা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ত্যাগারাজন এস এম ও পুলিশ সুপার (এসপি) সুধীর কুমার পরিকা আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। এতে অভিযোগ থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে পঞ্চায়েতপ্রধান দয়ানন্দের পাশাপাশি তাঁর আত্মীয় ধর্মেন্দ্র যাদবের নামও রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসপি পরিকা সাংবাদিকদের বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।