বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে মৌলিক ও মানবাধিকার আগেই ভুলুন্ঠিত হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে।
আইন-আদালতও এখন শাসকগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে শাসকগোষ্ঠী দেশে এক শ্বাসরুদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক নেতাকর্মী ছাড়াও দেশের সাধারণ মানুষও নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে এখন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদ, সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমানসহ দলটির ৯ জন নেতাকে আটক, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ লেবার পার্টির একটি অনুষ্ঠানে পুলিশ হামলা চালিয়ে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ বিএনপি এবং যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ২১ জন নেতাকর্মী এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন ঈসাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান বিনা ভোটের সরকার বিএনপিসহ দেশের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন ও হয়রানী অব্যাহত রেখেছে। সামবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা অভিযোগে আটক করা কোনো সুস্থ রাজনীতি নয়।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার কোনভাবেই বিরোধী মতকে সহ্য করছে না এবং তারা রাজনীতি বিজ্ঞানের পরিভাষা থেকে গণতন্ত্র শব্দকে মুছে দিতে চায়-যা এককদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য অতীব জরুরী। বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলসমূহ সংবিধান স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক অধিকার থেকে এখন পুরোপুরি বঞ্চিত। দেশের গণতন্ত্রের তিলমাত্র অবশিষ্ট নেই।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে যে হারে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে তা দেশের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। আমি বর্তমান সরকারের এধরণের হিংসাত্মক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি।