মোঃ নাদিম হোসেনঃচাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোশংকরবাটি ফতেপুর এলাকা থেকে নিখোঁজের দুদিন পর দুই শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফতেপুরের ভ্যানচালক ইয়াসিন আলীর বাড়ির খাটের নিচ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।নিহত দুই শিশু হলো ফতেপুর গ্রামের মিলন রানার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন মেঘলা ও আবদুল মালেকের মেয়ে মেহজাবিন আক্তার মালিহা।নিহত লামিয়ার কাছে হালকা চেন ও সুমাইয়ার কনে এবং গলায় গয়না ছিল।এলাকার প্রতিবেশি ফুয়াদ জানান এ সকল তথ্য।তানজিলার বৌমা লাকি তার মেয়েকে দিয়ে লামিয়া ও সুমাইয়া কে একত্রে করে গোপনে তার বাড়িতে নিয়ে যাই।প্রাথমিক ভাবে এলাকা বাসি ধারণা করছে বাচ্চা দুটিকে অপহরণের পর বস্তা বন্দি করে রাখা হয়েছিল। লামিয়া ও সুমাইয়া ছোট মণি বিদ্যা নিকেতনে পড়তো।পুলিশ জানায়, মেঘলা ও মালিহা গত রোববার দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পর বাড়ির বাইরে খেলা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের না পাওয়া গেলে বিষয়টি সেই দিনই পুলিশে জানানো হয়। ওই রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয় গীতা রানী নামের এক নারীকে আটক করে পুলিশ।কিন্তু গীতা রানীর কাছ থেকে কোন সদ উত্তর না পেয়ে পুলিশ প্রশাসন অনেক টা চিন্তিত হয়ে পরে।তারপরে পুলিশের পরামর্শে এলাকার লোকজন প্রতেক বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করতে গিয়ে বাসার মধ্যে ভ্যান চালক ইয়াসিন এর বাড়ির খাটের নিচে বৈকাল প্রায়৫ঃ৩৩ মিনিটে বস্তা বন্দি অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ।পুলিশ এ পর্যন্ত একাকা বাসীর সহযোগীতায় চার জন কে গ্রেফতার করেছে।লাকি অাখতার প্রায় আট বছর যাবৎ এই এলাকায় বসবাস করে।জানাগেছে লাকি অাখতার দুমাস অাগে পাশের বাড়ির তাজেমুল মিলেটারির মেয়ের গয়না বাসা থেকে চুরি করে।পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার জন্য চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল এর ডাঃ শফিকুল ইসলাম জানাই তাদেরকে শ্বাস রুদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছে এবং তাদেরকে যৌন নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে কি না তা আগামীকাল প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল পেলেই আমরা বলতে পারবো।
চাঁপাই নবাবগঞ্জে স্বর্ণের লোভে দুই শিশুকে বস্তা বন্দি করে মেরে ফেলা
Share!