Saturday , 18 May 2024
সংবাদ শিরোনাম

কৃষি জমি নষ্ট করে তৈরী হচ্ছে ইট

দেশে বছরে মাটি পোড়ানো ইট কিনতে গুণতে হচ্ছে অন্তত নয় হাজার কোটি টাকা। আর বিপুল পরিমাণ এই পণ্য তৈরিতে নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি।

অথচ, এসব জমি থেকে মাটি সংগ্রহের ক্ষেত্রে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না কেউ। এজন্য বলা হচ্ছে আইনের নানা দুর্বলতার কথা। আবার কারো পরামর্শ, কৃষি জমি নষ্ট না করে, ইট আমদানির দিকে নজর বাড়ানোর। অবশ্য সরকারের আশ্বাস, অবস্থার উন্নয়নে সংশোধন আনা হচ্ছে আইনে।

সত্তর বছরের জীবনে শেষ পাঁচ বছর ইট তৈরীর সাথে জীবিকা জড়িয়ে আছে মোসলেমউদ্দিনের। পিরোজপুরের কচা নদী থেকে মাটি এনে দৈনিক শ খানেক ইট বানান নিজ হাতে।রোদে শুকিয়ে প্রতিটি বিক্রি করেন তিন টাকা দরে। মোসলেম উদ্দিনের সুবিধা হলো মাটির জন্য করতে হয় না বিনিয়োগ। নষ্ট করবে হয় না ফসলি জমিও।

অথচ বিপরীত চিত্র হলো, দেশে বছরে যে পনেরশ কোটি উট বৈরি হচ্ছে, তার বেশির ভাগের জন্যেই মাটি আনতে হচ্ছে কৃষি জমি, খাল কিংবা পাহাড় কেটে। যার পরিমান প্রা ১শ ৬০ কোটি ঘনফুট। অথচ ইটের চাহিদা আরও কম।

তবে ভয়াবহ পরিসংখ্যান হলো, বছরে এক শবাংশ হারে নষ্ট হওয়া কৃষি জমির অর্ধেকই যাচ্ছে নতুন বাড়ি ঘর তৈরিতে। আর ১৬ শতাংশ নষ্ট করছে ইটভাঁটাগুলো। অথচ নতুন আইনে মাটি সংগ্রহের ব্যাপারে কড়া নিয়েধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না ভাঁটা মালিকরা।

দেশের নির্মণ সামগ্রীর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো মাটি পোড়ানো ইট। যা কিনতে বছরে খরচ হচ্ছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। অথচ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নিষিদ্ধ পরিবেশ ঝুঁকি তৈরি করা এই পন্য। কেবল তাই নয় একই পরিমান অথবা আরও কম টাকা খরচ করে মেটানো সম্ভব এই পন্যের চাহিদা।, পরিবেশবান্ধব, বিকল্প সামগ্রী ব্যবহার করে।এরই মধ্যে সে বিষয়ে সফল গবেষনার দাবীও করেছে সরকারের হাউজ বিল্ডং রিসার্চ ইনষ্টিটিউট। যদিও তাতে এখনো সাড়া মেলনি খুব একটা।

অবশ্য পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলছেন, দেশের ইটভাঁটা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই সংশোধন আনা হচ্ছে আইনে। যা বাস্তবায়নেও নেয়া হবে কঠোর উদ্যোগ।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top