সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের সংশয় আর অবিশ্বাস ভাঙতে হবে। ভেঙে দিতে হবে সীমান্ত দেয়ালও। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে মৈত্রী র্যালির ফ্লাগ অফ অনুষ্ঠানে আজ সকালে এ সব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপ যদি সীমান্তের সব বাধা অতিক্রম করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে পারে, আমরা কেন পারব না। আমাদের মধ্যে তো সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন রয়েছে। তিনি বলেন, ভারতও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অংশীদার। মহান একাত্তরে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য শহীদ হয়েছেন। ভারত আমাদের কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল। ভুটান আমাদের স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। নেপাল স্বাধীনতালগ্ন থেকে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে রয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনে অনেক সমস্যা আছে। এ সবের সমাধানও আছে। চার দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি চালু করতে অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধান করতে হবে। আমাদের সড়ক পথটা আমরা ঠিক করতে পারব। ভারতও ঠিক করবে তাদের পথ। এভাবে সবাই সবার রাস্তা ঠিক করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, গাড়ি চলাচল চালু করতে হলে সংসদে আইন পাস হতে হবে। বাংলাদেশ সংসদে অধিবেশন হবে জানুয়ারিতে। এ অধিবেশনে আমাদের আইন পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে সব দেশে আইন পাস হয়ে গেলে সড়ক যোগাযোগ চালু হয়ে যাবে।
এ সময় পঙ্কজ শরণ বলেন, বর্তমান যুগে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রিজিওনাল কানেক্টিভিটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ অর্জনে আমরা সব বাধা অতিক্রম করব। ফ্লাগ অফ অনুষ্ঠান শেষে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয় বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবি আইএন) মৈত্রী মোটর র্যালিটি। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাত্রা বিরতিতে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে অংশগ্রহণকারীরা।
এর আগে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও ছেড়ে সকালে রওনা দিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর হয়ে সোয়া ৮টার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে পৌঁছায় র্যালিটি। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রবিবার বিকেলে র্যালিটি ঢাকায় পৌঁছায়। পরদিন গতকাল একটি সেমিনারে যোগ দেন তারা। যাত্রার ১৮তম দিনে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে যশোর, বেনাপোল হয়ে কলকাতা পৌঁছাবে র্যালিটি। চার দেশের সরকারের সহযোগিতায় র্যালির মূল আয়োজক ভারতের কলিঙ্গ মোটরস।