গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দেবরের বিরুদ্ধে মামলা
স্টফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সদর ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামীর চাচাতো ভাইকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাতে গফরগাঁও থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গফরগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া জানান, পরীক্ষার জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ওই গৃহবধূর লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর স্বামী গফরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ কর্মী। সাড়ে সাত বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের সাড়ে চার বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। ব্যবসার কারণে তাঁর স্বামীকে প্রায়ই গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থান করতে হয়। এ সুযোগে স্বামীর চাচাতো ভাই রফিক এক বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করছেন। এ ঘটনা ফাঁস করলে রফিক ভাই-ভাবী দুজনকেই হত্যা এবং বাড়ির ওপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার হুমকি দেন। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রফিক ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে গত মঙ্গলবার রাতে রফিক মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন তিনি। ওই ইউপি সদস্য অভিযোগ করে বলেন, অশ্লীল ইঙ্গিত দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন ধর্ষণ মামলার ওই আসামি। তাঁর স্ত্রীকে বিতৃষ্ণ করে বিয়ের প্রলোভনও দেওয়া হয়। এর পরও তাঁর স্ত্রী ওই আহ্বানে সাড়া না দিলে বছরখানেক আগে তাঁকে ধর্ষণ করে। এর পর এই কথা ফাঁস করে দিলে স্ত্রীসহ তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁদের বাড়ির ওপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও বলেন ওই ধর্ষণ মামলার আসামি। এর পর যখন ইউপি সদস্য বাড়ির বাইরে থাকতেন, তখনই তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হতো। গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হানুল আলম জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইউপি সদস্যের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন ধর্ষণের মামলার আসামি। পরে ঘরে ঢুকে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। তবে এই ঘটনা আরো এক বছর আগে থেকেই চলছিল।