নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত দেয়াল তোলার নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিনটিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ দিন’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সাত মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন ট্রাম্প। অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর সিদ্ধান্ত আসছে আগামীকাল, এক টুইট বার্তায় একথা জানিয়েছেন তিনি।ধারনা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অভিবাসন ও সীমান্ত ইস্যুতে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আদেশে সাক্ষর করবেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সাত মুসলিম প্রধান দেশের অভিবাসন প্রত্যার্শীদের ওপর আগের চেয়ে অনেক কঠোর অবস্থানে যাবে বর্তমান মার্কিন প্রশাসন। তবে কোন সাত দেশের ওপর ট্রাম্পের খড়গ পড়বে সেই সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার কোন ধারণা দেয়নি হোয়াইট হাউজ। তবে ট্রাম্প প্রশাসন যে শরণার্থী প্রবেশে কঠোর হবে এটি নিশ্চিত করেছে।টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসছে আগামীকাল। অন্যান্য আরো অনেক কিছুর মতোই আমরা দেয়ালও নির্মাণ করবো।’নির্বাচনী প্রচারণা পর্বে মেক্সিকো সীমান্তে দুই হাজার মাইল দেয়াল নির্মাণ ছিল ট্রাম্পের অন্যতম আলোচিত প্রতিশ্রুতি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের উচ্ছেদে চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।ধারণা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাকের মতো মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি দেশের ওপর অভিবাসনের ক্ষেত্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসতে যাচ্ছে। এছাড়া কিছু দেশ থেকে শরণার্থী প্রবেশ সাময়িক বন্ধ রাখতে পারেন। অন্তত যতোদিন পর্যন্ত না চূড়ান্তভাবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে।অভিবাসন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো যদিও ট্রাম্পের এসব পরিকল্পনা ও প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে।বিবিসি-র উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন সোপেল বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে নতুন প্রসিডেন্ট ধারাবাহিকভাবে বাজে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সোম ও মঙ্গলবার নিলেন চাকরি ও বাণিজ্য বিষয়ক আর আজ সীমান্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে।
৭ মুসলিম দেশের অভিবাসীদের ওপর ট্রাম্পের খড়গ
Share!