স্পষ্ট অক্ষরে ‘পড়ার উপযোগী করে’ চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র লেখার নির্দেশনা দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ৩০ দিনের মধ্যে সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে রোগীর ব?্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না_তা জানতে চেয়ে রুল জারি হয়েছে।স্বাস্থ?্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সাত বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে।এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়। ‘দুর্বোধ্য ব্যবস্থাপত্র: ভুল ওষুধ গ্রহণের ঝুঁকিতে রোগীরা’ শিরোনামে গত ১৭ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ?্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত সপ্তাহে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করে।সোমবার এই আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসকের দুর্বোধ্য হাতের লেখার কারণে একদিকে রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে, অন?্যদিকে লেখা পড়তে না পেরে ফার্মেসি থেকে প্রায়ই ভুল ওষুধ গছিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে রোগীরা মারাত্মক স্বাস্থ?্য ঝুঁকিতে পড়ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার বিনিময়ে ব?্যবস্থাপত্রে ওই নির্দিষ্ট কোম্পানির তৈরি ওষুধের নাম লেখেন। এতে করে রোগীরা কখনো বেশি দামে আবার কখনেও মানসম্মত নয়_এমন ওষুধ কিনতে বাধ?্য হন।এ কারণে পাশের দেশ ভারতে রোগীর প্রেসক্রিপশনে বড় হরফে ওষুধের জেনেরিক নাম (একটি ওষুধের মূল কেমিকেল কম্পোজিশনের নাম) লেখার নিয়ম থাকলেও বাংলাদেশে তেমন কোনো আইন নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের হাইকোর্ট গত বছর ফেব্রুয়ারিতেও একটি রুল জারি করেছিল।
ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম স্পষ্ট করে লিখতে বিধি তৈরির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না_তা জানতে চাওয়া হয়েছিল ওই রুলে।ওই রিটকারীর বক্তব?্য ছিল, চিকিৎসকরা ব?্যবস্থাপত্রে জেনেরিক নাম না লিখে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দেয়া ব্র্যান্ড নাম লেখায় রোগীরা সেই কোম্পানির ওষুধ কিনতে বাধ্য হন। প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক নাম থাকলে রোগী ফার্মেসিতে ওই নাম দেখিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো কোম্পানির ওষুধ কিনতে পারবে।
স্পষ্ট অক্ষরে ‘পড়ার উপযোগী করে’ চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র লেখার নির্দেশ
Share!