অফিসে ভীষণ কাজের চাপে কোনো কর্মী মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করলে, তার দায় বস-এর নয়। অর্থাৎ, কাজের চাপে-অবসাদে কোনো কর্মী আত্মঘাতী হলে বস-কে দায়ী করা যাবে না। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই রায় দিলেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের রায় থেকে জানা যায়, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা যদি কোনো অধঃস্তন কর্মীর ওপর প্রচুর কাজ চাপিয়ে দেন, তার মানেই এই নয়, ওই কর্মকর্তার মাথায় কোনো অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট কর্মীকে হেনস্তা বা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ওই কর্মকর্তা কাজ চাপাচ্ছেন, এটা ভেবে নেওয়া ঠিক নয়।
২০১৭ সালের আগস্টে ঔরঙ্গাবাদে কিশোর পরাশর নামে মহারাষ্ট্র সরকারের শিক্ষা দপ্তরের এক কর্মী আত্মহত্যা করেন। আত্মঘাতী ব্যক্তির স্ত্রী থানায় দায়ের করা অভিযোগে দাবি করেন, অফিসে বস ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর স্বামীর ওপর বিপুল কাজের বোঝা চাপাতেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে অফিসে থাকতে বাধ্য করতেন। সেই চাপ নিতে না-পেরেই মানসিকভাবে কিশোর পরাশর ভেঙে পড়েন এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
মামলাটি প্রথমে বম্বে হাইকোর্টে ওঠে। তারপর তা শীর্ষ আদালতে যায়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।