ইউরোপের বড় বড় কোনো শক্তিই কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রও কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে।
স্পেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে জার্মানি। অন্যদিকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানা রাহয় এর কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।
ব্রিটেন বলেছে, স্পেনের অখণ্ডতা অটুট থাকুক এবং তাদের সংবিধান সমুন্নত থাকুক এটি তাদের প্রত্যাশা।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র একজন মুখপাত্র বলেন, যে গণভোটের ওপর ভিত্তি করে কাতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে সে গণভোট অবৈধ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, কাতালোনিয়া স্পেনের অখণ্ড অংশ।
এদিকে বড় কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের কোনো স্বীকৃতি বা সমর্থন না পেলেও স্বাধীনতার দাবিতে অনড় রয়েছে কাতালোনিয়ার বিরাট একটি অংশ।
স্বাধীনতার দাবিতে হাজারো মানুষের স্লোগানে বার্সেলোনার চারদিক মুখরিত। আর গান গেয়ে সম্মিলিত এইসব মানুষকে উদ্দীপ্ত করছে স্থানীয় গানের দল।
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা প্রশ্নে গত ১ অক্টোবর একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।
এই গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে অধিকাংশ জনগণ ভোট দেয়। এরপর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তৈরি করে সেটিতে স্বাক্ষর করে রেখেছিলেন কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামী নেতা মি. পুজডেমন। সেই ঘোষণারই বিলম্বিত বাস্তবায়ন হলো সর্বশেষ এই স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, কাতালোনিয়া স্পেনের অন্যতম ধনী এবং স্বতন্ত্র অঞ্চল। বহুদিন ধরেই এই অঞ্চলে নিজেদের স্বাধীনতার দাবিটি বিচ্ছিন্নভাবে চলে আসছিল।