Thursday , 28 March 2024
সংবাদ শিরোনাম

দেশে আইটি ও আউটসোসিং সাফল্যে এম এ বাশার

                                                                 দেশে আইটি ও আউটসোসিং
                                                     সাফল্যে এম এ বাশার        সাফল্যে এম এ বাশার

সালেহ উদ্দিন সোহেল :
বাংলাদেশের আইটি ট্রেনিং ও আউট সোসিং এ স্বাবলম্বী হওয়া এখন যুগোপযোগী কর্মসংস্থানের মধ্যে অন্যতম । কিন্তু আজ থেকে ২০ বছর আগে যা ছিল কল্পনা মাত্র। কম্পিউটার বিদ্যা শিখে স্বাবলম্বী হবে এই বিশ্বাসটা ছিল হাতে গোনা কয়েক জনের। তাদের মধ্যে আইটি খাতের এক উজ্জল নক্ষত্র এ্যাপটেক ও এক্সটেক আইটি কর্ণধার এম এ বাশার । বর্তমানে এ্যাপটেক আইটি ট্রেনিং ও এক্সটেক আইটি এন্ড আউট সোসিং এর মাধ্যমে লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও সুবিধাবঞ্চিত  নারীরা আজ স্বাবলম্বী। আইটি এই নক্ষত্রের আইটি সাফল্যের পেছনের গল্পের (১মপর্ব)

১৯৯৮ ইং  সালের জুলাই মাসে ভারতীয় আইটি কোম্পানীর এ্যাপটেক আইটি ট্রেনিং  সেন্টার ঢাকা উত্তরা শাখার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আইটি ট্রেনিং সেবা মুলক কাজে যোগদান এম এ বাশারের। পরবর্তীতে এ্যাপটেক সারা বাংলাদেশে ৩৫ টি শাখা সম্প্রসারন করে। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্টে টুইন টাওয়ার বোমা বিস্পোরনে পর বাংলাদেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষন নেওয়ার মনোভাব কমে যায় অভিবাবক সহ ছাত্র ছাত্রীদের। ফলে সে যাত্রায় এ্যাপটেকের শধু উত্তরা শাখা ছাড়া ভারতীয় কোম্পানীটির বাংলাদেশে আইটি ট্রেনিং কার্যক্রম অনেকটা স্থগিত করে, কিন্তু অদম্য এম এ বাশার এ্যাপটেকের উত্তরা শাখাটি নিজ উদ্দ্যোগে  গ্রামের জমিও গাছ বিক্রি করে চালু করে, মাত্র ৪ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে আবারও শুরু করলেন নতুন যাত্রা। এ্যাপটেকের পাশাপাশি এক্সটেক আইটি এন্ড আউটসোসিং ট্রেনিং সেন্টার চালু করেন। বিনা মূল্যে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের আইটি ও আউটসোসিং শিখানোর উদ্যোগ নেন তিনি।

সে পর্যায়ে এক্সটেক আইটির মাধ্যমে বিনা মূল্যে এক হাজার ছাত্রছাত্রী আইটি ও আউটসোসিং প্রশিক্ষন ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। বর্তমানে তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে।
শারমিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি এম এ বাশার স্যারের অনুপ্রেরনায় আজ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে আইটি এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করছি। স্যারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছেন।

বাংলাদেশে সরকারের সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্লোগানে একত্বতা প্রকাশ করে কাজ শরু করে এ্যাপটেক ও এক্সটেক আইটি ট্রেনিং।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলে ১০০০ হাজার ছাত্রছাত্রী বিনা মূল্যে আইটি ট্রেনিং দেওয়ার উদ্যোগ নেন। ২০১৪ সালে সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে  কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে। তখন মিরপুরে নিজ উদ্যেগে এক্সটেক আইটি নতুন শাখা সংযোজন করেন। এই সেন্টার থেকে  আবারও বিনা মূল্যে ২০০০হাজার ছাত্রছাত্রীদের ট্রেনিং করানো হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেন এম এ বাশার। ২০১৫ সালে বিনা মূল্যে ১০০০ হাজার নারীকে আউটসোসিং প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। বর্তমানে  ঐ সব নারীরা আউট সোসিংয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছে।

এ্যাপটেক ও এক্সটেক আইটি এন্ড আউট সোসিংয়ে সুযোগ রয়েছে ট্রেনিং করে  আয়ের মাধ্যমে কোর্স ফি দেওয়ার সুযোগ। এতে গরীব,মেধাবী ছাত্রছাত্রী ও নারীরা  স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত ২০০০ জন নারী পুরুষ কোর্স সম্পন্ন করে  স্বাবলম্বী হয়েছে।

প্রসঙ্গে এ্যাপটেক ও এক্সটেক কর্ণধার এম এ বাশার বলেন, আইটি ও আউটসোসিং এর মাধ্যমে দেশে বেকারত্ব কমেছে। আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনা মূল্যে গরীব মেধাবী নারী পুরুষের ট্রেনিং অগ্রাধিকার সর্বদাই থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানের সংঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠান থাকবে। বর্তমান সরকারের সুদৃষ্টি পেলে সারা বাংলাদেশে শাখা স্থাপন করে আইটি খাতে দেশের মানুষের সেবা চালিয়ে যাব।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top